পাঠ ৫

নোহের জাহাজ

নোহের জাহাজ

একসময় পৃথিবী অনেক লোকে ভরে যায়। তাদের মধ্যে বেশিরভাগ লোকই ছিল মন্দ। এমনকী কিছু স্বর্গদূতও মন্দ হয়ে গিয়েছিল। তারা স্বর্গে তাদের বাড়ি ছেড়ে পৃথিবীতে নেমে আসে। তোমরা কি জান, কেন তারা এমনটা করেছিল? তারা এমনটা করেছিল, যাতে তারা মানুষের দেহ ধারণ করতে আর পৃথিবীর নারীদের বিয়ে করতে পারে।

বিয়ের পর সেই স্বর্গদূতদের ও নারীদের সন্তান হয়। সেই সন্তানেরা বড়ো হয়ে অনেক শক্তিশালী হয়ে ওঠে এবং অন্যদের অত্যাচার করতে শুরু করে। কিন্তু, যিহোবা চাননি, এই মন্দ বিষয়গুলো ক্রমাগত ঘটতে থাকুক। তাই, তিনি জলপ্লাবন দিয়ে মন্দ লোকদের ধ্বংস করার সিদ্ধান্ত নেন।

কিন্তু, তাদের মধ্যে একজন ব্যক্তি একেবারে আলাদা ছিলেন। তিনি যিহোবাকে ভালোবাসতেন। তার নাম হল নোহ। তার স্ত্রী এবং তিন ছেলে ছিল। সেই ছেলেদের নাম হল শেম, হাম ও যেফৎ আর তাদের প্রত্যেকের স্ত্রী ছিল। যিহোবা নোহকে খুব বড়ো একটা জাহাজ তৈরি করতে বলেন, যাতে নোহ এবং তার পরিবার জলপ্লাবন থেকে রক্ষা পেতে পারে। সেই জাহাজটা ছিল এক বিরাট বাক্সের মতো, যা জলের উপর ভাসতে পারে। এ ছাড়া, যিহোবা নোহকে বিভিন্ন ধরনের পশুপাখিকে সেই জাহাজে ঢোকাতে বলেছিলেন, যাতে সেগুলোও রক্ষা পায়।

নোহ সঙ্গেসঙ্গে জাহাজ তৈরি করতে শুরু করেন। এই জাহাজ তৈরি করার জন্য নোহ এবং তার পরিবারের প্রায় ৫০ বছর লেগেছিল। যিহোবা যেভাবে বলেছিলেন, তারা ঠিক সেভাবেই জাহাজ তৈরি করে। জাহাজ তৈরি করার পাশাপাশি নোহ জলপ্লাবন সম্বন্ধে লোকদের সাবধান করেন। কিন্তু, কেউ তার কথা শোনেনি।

এরপর জাহাজে ঢোকার সময় আসে। এসো, আমরা দেখি, তার পরে কী হয়েছিল

“নোহের দিনে পরিস্থিতি যেমন ছিল, মনুষ্যপুত্রের উপস্থিতির সময়ে পরিস্থিতি তেমনই হবে।”—মথি ২৪:৩৭