সরাসরি বিষয়বস্তুতে যান

সরাসরি বিষয়সূচিতে যান

কিশোর-কিশোরীদেরকে প্রাপ্তবয়সের সময়ের জন্য তৈরি করা

কিশোর-কিশোরীদেরকে প্রাপ্তবয়সের সময়ের জন্য তৈরি করা

পারিবারিক সুখের চাবিকাঠি

কিশোর-কিশোরীদেরকে প্রাপ্তবয়সের সময়ের জন্য তৈরি করা

“আমার ছেলেদের সঙ্গে কথা বলা আনন্দদায়ক বিষয় ছিল। তারা আমার কথা মন দিয়ে শুনত এবং আমি যা জিজ্ঞেস করতাম, সঙ্গেসঙ্গে সেগুলোর উত্তর দিত। কিন্তু, এখন তারা কিশোরবয়সি আর সবকিছু নিয়েই আমাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। তারা এমনকী আমাদের আধ্যাত্মিক বিষয়গুলোর তালিকা নিয়েও আপত্তি করে। ‘আমাদের কি বাইবেল নিয়ে কথা বলার সত্যিই প্রয়োজন আছে?’ তারা জিজ্ঞেস করে। আমার ছেলেরা বয়ঃসন্ধিকালে পৌঁছানোর আগে আমি কখনো কল্পনাও করতে পারিনি যে, আমার পরিবারে এমনটা ঘটতে পারে—যদিও অন্য পরিবারগুলোতে আমি এমনটা ঘটতে দেখেছিলাম।”—রেজি। *

 আপনার কি কোনো কিশোরবয়সি সন্তান আছে? যদি থাকে, তাহলে আপনি আপনার সন্তানের বড়ো হয়ে ওঠার সবচেয়ে রোমাঞ্চকর পর্যায়ের সাক্ষি হচ্ছেন। তবে, এই সময়টা সবচেয়ে দুশ্চিন্তার এক সময়ও হতে পারে। নীচের ঘটনাগুলো কি আপনার কাছে পরিচিত মনে হচ্ছে?

আপনার ছেলে যখন ছোটো ছিল, তখন সে ঘাটে—আপনার সঙ্গে—বাঁধা এক নৌকার মতো ছিল। কিন্তু, কিশোর বয়সে পা রাখতেই সে নৌকার দড়ি ধরে টান দিতে, নৌকা নিয়ে চলে যাওয়ার জন্য তৈরি আর আপনার মনে হয় যেন আপনি সেই নৌকায় চড়ার জন্য আমন্ত্রিত নন।

আপনার মেয়ে যখন ছোটো ছিল, তখন সে আপনাকে সবকিছু খুলে বলত। কিন্তু, কিশোর বয়সে পা দেওয়ার পর সে এখন তার বন্ধুবান্ধবকে নিয়ে এক ‘সোশ্যাল ক্লাব’ গঠন করেছে আর আপনার মনে হয় যেন আপনি সেই ক্লাবের সদস্য হতে পারবেন না।

আপনার পরিবারে যদি এইরকম কিছু ঘটে থাকে, তাহলে সঙ্গেসঙ্গে এই উপসংহারে আসবেন না যে, আপনার সন্তান একজন বিদ্রোহী হয়ে উঠছে আর তাকে কোনোভাবেই শুধরানো যাবে না। আসলে, কী ঘটছে? সেই প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার জন্য আসুন আমরা বয়ঃসন্ধির সময়টা আপনার সন্তানের বিকাশে যে-গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে, সেটা নিয়ে আলোচনা করি।

বয়ঃসন্ধির সময়—জীবনের এক তাৎপর্যপূর্ণ পর্যায়

জন্মের পর থেকেই একটা সন্তানের জীবন হচ্ছে এমন এক সময়, যখন সবকিছুই প্রথম বার করা হয়—প্রথম হাঁটা, প্রথম কথা বলা, স্কুলের প্রথম দিন হচ্ছে এগুলোর মধ্যে মাত্র কয়েকটা বিষয়। বাবা-মার আনন্দ হয়, যখন তাদের সন্তান জীবনের এক তাৎপর্যপূর্ণ পর্যায়ে পৌঁছায়। কোনো কিছু সম্পাদন করা প্রমাণ করে যে, আপনার সন্তান বড়ো হচ্ছে।

বয়ঃসন্ধির সময়ও জীবনের এক তাৎপর্যপূর্ণ পর্যায়—যদিও কিছু বাবা-মা এই সময়কে খুশি মনে অভ্যর্থনা জানায় না। অবশ্য, তাদের এই ভীতিটা স্বাভাবিক। যা-কিছুই হোক, কোন বাবা অথবা মা তাদের বাধ্য সন্তানকে এক খেয়ালি কিশোর বা কিশোরী হয়ে উঠতে দেখে খুশি হবে? তা সত্ত্বেও, বয়ঃসন্ধি হচ্ছে বেড়ে ওঠার এক অতি তাৎপর্যপূর্ণ পর্যায়। কোন দিক দিয়ে?

বাইবেল বলে যে, একসময় ‘মনুষ্য আপন পিতা মাতাকে ত্যাগ করিবে।’ (আদিপুস্তক ২:২৪) বয়ঃসন্ধির সময়ে এক গুরুত্বপূর্ণ কাজ হচ্ছে, আপনার ছেলে বা মেয়েকে সেই আনন্দ ও দুঃখের মিশ্র অনুভূতির দিনের জন্য প্রস্তুত হতে সাহায্য করা। সেইসময় আপনার সন্তান যেন প্রেরিত পৌলের এই কথাগুলো বলতে সমর্থ হয়: “আমি যখন শিশু ছিলাম, তখন শিশুর ন্যায় কথা কহিতাম, শিশুর ন্যায় চিন্তা করিতাম, শিশুর ন্যায় বিচার করিতাম; এখন মানুষ [“পরিণত মানুষ,” বাংলা ইজি-টু-রিড ভারসন] হইয়াছি বলিয়া শিশুভাবগুলি ত্যাগ করিয়াছি।”—১ করিন্থীয় ১৩:১১.

মূলত, আপনার ছেলে বা মেয়ে কিশোর বয়সের দিনগুলোতে এটাই করছে—শৈশবের আচরণগুলো ত্যাগ করছে এবং একজন দায়িত্ববান প্রাপ্তবয়স্ক হতে শিখছে, যে কিনা এখন বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র যাওয়ার মতো স্বনির্ভর এবং পরিপক্ব। বস্তুতপক্ষে, একটি তথ্যগ্রন্থ বয়ঃসন্ধির সময়কে মর্মস্পর্শীভাবে “এক দীর্ঘ বিদায়” হিসেবে বর্ণনা করে।

এটা সত্য যে, আপনার “ছোটো” ছেলে বা মেয়ে স্বাধীন হয়ে উঠবে, এই ধারণাটা এখনই আপনাকে সন্দিহান করে তুলবে। আপনি হয়তো জিজ্ঞেস করতে পারেন:

“আমার ছেলে এখনও তার নিজের রুমই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে পারে না, তাহলে কীভাবে সে একটা বাড়ি সামলাবে?”

“আমার মেয়ে এখনও সময়মতো ঘরে ফিরে আসতে পারে না, তাহলে কীভাবে সে তার চাকরি সামলাবে?”

আপনার যদি এইরকম উদ্‌বিগ্নতা থাকে, তাহলে মনে রাখবেন: স্বাধীনতা কোনো দ্বার নয়, যেটা দিয়ে আপনার সন্তান হেঁটে চলে যাচ্ছে; এটা হচ্ছে একটা পথ, যেখানে সে ভ্রমণ করছে এবং সেই যাত্রা শেষ করার জন্য কয়েক বছর সময় লাগে। এই সময়ে, আপনি পর্যবেক্ষণ থেকে জানেন যে, “বালকের”—বা বালিকার—“হৃদয়ে অজ্ঞানতা বাঁধা থাকে।”—হিতোপদেশ ২২:১৫.

কিন্তু, সঠিক নির্দেশনা পেলে আপনার সন্তান সম্ভবত কৈশোর থেকে এমন এক দায়িত্ববান প্রাপ্তবয়স্ক হিসেবে বেড়ে উঠবে, যার “জ্ঞানেন্দ্রিয় সকল . . . সদসৎ বিষয়ের বিচারণে পটু।”—ইব্রীয় ৫:১৪.

সাফল্যের চাবিকাঠি

আপনার কিশোরবয়সি সন্তানকে প্রাপ্তবয়সের সময়ের জন্য তৈরি করতে হলে তাকে “জ্ঞানেন্দ্রিয় সকল” গড়ে তুলতে সাহায্য করতে হবে, যাতে সে নিজে নিজে যুক্তিযুক্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারে। নীচে উল্লেখিত বাইবেলের নীতিগুলো আপনাকে তা করতে সাহায্য করবে।

ফিলিপীয় ৪:৫: “তোমাদের শান্ত ভাব [“যুক্তিবাদিতা,” NW] . . . বিদিত হউক।” আপনার কিশোরবয়সি সন্তান একটা অনুরোধ করেছে, হতে পারে সে আরেকটু দেরি করে ঘরে ফিরে আসার অনুমতি চেয়েছে। আপনি সঙ্গেসঙ্গে তা প্রত্যাখ্যান করলেন। আপনার কিশোরবয়সি সন্তান নাকিকান্না কেঁদে বলে, “তুমি এখনও আমাকে বাচ্চা ভাবো!” উত্তরে “তুমি এমন আচরণ করছ” বলার আগে এই বিষয়টা বিবেচনা করুন: কিশোর-কিশোরীরা যতটুকু স্বাধীনতা পাওয়ার যোগ্য, তার চেয়ে বেশি পেতে চায়, কিন্তু বাবা-মায়েরা যতখানি স্বাধীনতা দিতে পারে, তার চেয়ে কম স্বাধীনতা দিতে চায়। এইরকম কি হতে পারে যে, কিছু কিছু ক্ষেত্রে আপনি একটু ছাড় দিতে পারেন? অন্তত, আপনার কিশোরবয়সি সন্তানের দৃষ্টিভঙ্গিটা একটু বিবেচনা করে দেখুন না কেন?

এটা করে দেখুন: একটা বা দুটো ক্ষেত্র লিখে রাখুন, যে-ক্ষেত্রগুলোতে আপনি আপনার কিশোরবয়সি সন্তানকে আরেকটু স্বাধীনতা দিতে পারেন। তার কাছে ব্যাখ্যা করুন যে, আপনি পরীক্ষামূলকভাবে তাকে এই স্বাধীনতা দিচ্ছেন। যদি সে এটা দায়িত্বের সঙ্গে নেয়, তাহলে পরে তাকে আরও স্বাধীনতা দেওয়া যেতে পারে। যদি সে না নেয়, তাহলে তাকে যে-স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে, তা তুলে নেওয়া হবে।—মথি ২৫:২১.

কলসীয় ৩:২১: “তোমরা যারা পিতা, তোমাদের ছেলেমেয়েদের মন তেতো করে তুলো না, যেন তারা উৎসাহহীন হয়ে না পড়ে।”বাংলা কমন ল্যাঙ্গুয়েজ ভারসন। কিছু বাবা-মা তাদের কিশোরবয়সি সন্তানদের সমস্ত ব্যাপার নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করে। তাকে নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য তারা বলতে গেলে তাকে ঘরের মধ্যে আটকে রাখে। তার বন্ধুদের ফোন আসলে তারা ফোন ধরে এবং আড়ি পেতে তাদের কথা শোনে। কিন্তু, এই পদ্ধতিগুলো খুব একটা কাজে আসে না। তাকে আটকে রাখা হলে সে শুধু সেখান থেকে বের হয়ে আসতে চাইবে; সবসময় তার বন্ধুদের দোষ ধরা হলে, তাদের প্রতি তার আকর্ষণ কেবল বৃদ্ধিই পাবে; তার কথা আড়ি পেতে শোনা হলে সে এমন সব উপায় বের করতে বাধ্য হবে, যাতে সে আপনার অগোচরে বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলতে পারে। যতই আপনি নিয়ন্ত্রণ করতে চাইবেন, ততই আপনি তার ওপর থেকে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলবেন। সত্যিই, যদি আপনার কিশোরবয়সি সন্তান ঘরে থাকতেই সিদ্ধান্ত নিতে না শেখে, তাহলে কীভাবে সে ঘর ছেড়ে অন্যত্র চলে যাওয়ার পর, তা নিতে শিখবে?

এটা করে দেখুন: পরবর্তী সময়ে যখন আপনি কোনো বিষয় নিয়ে আপনার কিশোরবয়সি সন্তানের সঙ্গে কথা বলেন, তখন তাকে যুক্তি করতে সাহায্য করুন যে, তার পছন্দগুলো কীভাবে তার সুনামকে প্রভাবিত করবে। উদাহরণস্বরূপ, তার বন্ধুদের দোষ ধরার পরিবর্তে বলুন: “[নাম] যদি আইন ভঙ্গ করার দায়ে গ্রেপ্তার হয়, তাহলে কী হবে? সেটা তোমার সম্বন্ধে কী পরিচয় দেবে?” আপনার কিশোরবয়সি সন্তানকে বুঝতে সাহায্য করুন যে, কীভাবে তার পছন্দগুলো তার সুনামকে হয় বৃদ্ধি করবে নতুবা নষ্ট করবে।—হিতোপদেশ ১১:১৭, ২২; ২০:১১.

ইফিষীয় ৬:৪: “তোমরা আপন আপন সন্তানদিগকে ক্রুদ্ধ করিও না, বরং প্রভুর [“যিহোবার,” NW] শাসনে ও চেতনা প্রদানে তাহাদিগকে মানুষ করিয়া তুল।” ‘চেতনা প্রদান’ অভিব্যক্তিটি শুধুমাত্র তথ্য প্রদান করার চেয়ে আরও বেশি কিছুকে বোঝায়। এর অর্থ হচ্ছে, সন্তানের নৈতিক সচেতনতার ওপর এমনভাবে আবেদন তৈরি করা, যেন এটা তার কাজগুলোকে প্রভাবিত করে। এটা বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ, যখন আপনার সন্তান বয়ঃসন্ধিকালে পৌঁছায়। “আপনার সন্তান যতই বড়ো হয়ে ওঠে,” আন্দ্রে নামে একজন বাবা বলেন, “ততই আপনাকে তার সঙ্গে কথা বলার ও তার সঙ্গে যুক্তি করার পদ্ধতিতে সমন্বয় করতে হবে।”—২ তীমথিয় ৩:১৪.

এটা করে দেখুন: কোনো বিষয় উত্থাপিত হলে আপনাদের ভূমিকাগুলো পালটানোর চেষ্টা করুন। আপনার কিশোরবয়সি সন্তানকে জিজ্ঞেস করুন যে, আপনি যদি তার সন্তান হতেন, তাহলে সে আপনাকে কী পরামর্শ দিত। তার চিন্তাভাবনাকে সমর্থন করার বা আপত্তি করার পিছনে যুক্তি তুলে ধরার জন্য তাকে গবেষণা করতে বলুন। এক সপ্তাহের মধ্যেই বিষয়টা নিয়ে আবার আলোচনা করুন।

গালাতীয় ৬:৭: “মনুষ্য যাহা কিছু বুনে তাহাই কাটিবে।” একটা সন্তানকে শাস্তির মাধ্যমে, হতে পারে তাকে তার রুমে পাঠিয়ে দিয়ে বা তার কোনো পছন্দের কাজ থেকে বঞ্চিত করে, শিক্ষা দেওয়া যেতে পারে। কিন্তু, একজন কিশোরবয়সি সন্তানের ক্ষেত্রে পরিণতিগুলো নিয়ে আপনার চিন্তা করা উচিত।—হিতোপদেশ ৬:২৭.

এটা করে দেখুন: তার করা কোনো ঋণ পরিশোধ করে বা পরীক্ষায় ফেল করার পিছনে শিক্ষকের কাছে অজুহাত তুলে ধরে তাকে বাঁচানোর চেষ্টা করবেন না। তাকে পরিণতিগুলো ভোগ করতে দিন, তাহলে শিক্ষাটা দীর্ঘস্থায়ী হবে।

একজন বাবা অথবা মা হিসেবে, আপনি সম্ভবত চাইবেন যে, বয়ঃসন্ধির সময়টা যেন একটা রানওয়ের মতো হয়, যেখানে আপনার সন্তান খুব দ্রুত ও দক্ষভাবে প্রাপ্তবয়সের দিকে উড়ে যাওয়ার জন্য তার গতিকে বাড়াবে। কিন্তু, রানওয়ে ছেড়ে উপরের দিকে উড়ে যাওয়াটা খুব নির্বিঘ্ন হয় না। তা সত্ত্বেও, আপনার সন্তানের কিশোরবয়সি সময় আপনাকে এক চমৎকার সুযোগ প্রদান করে, যাতে আপনি “তাহার গন্তব্য পথানুরূপ শিক্ষা” দিতে পারেন। (হিতোপদেশ ২২:৬) বাইবেলের নীতিগুলো হচ্ছে এক দৃঢ় ভিত্তি, যেটার ওপর আপনি পরিবারের সুখকে গড়ে তুলতে পারেন। (w০৯ ৫/১)

[পাদটীকা]

^ নাম পরিবর্তন করা হয়েছে।

নিজেকে জিজ্ঞেস করুন . . .

আমার কিশোরবয়সি সন্তান যে-সময়ের মধ্যে ঘর ছেড়ে অন্যত্র যাওয়ার জন্য তৈরি হবে, তখন কি সে নীচে বর্ণিত কাজগুলো করতে সমর্থ হবে?

এক নিয়মিত আধ্যাত্মিক তালিকা বজায় রাখতে পারবে

উত্তম বাছাই করতে ও উত্তম সিদ্ধান্ত নিতে পারবে

অন্যদের সঙ্গে কার্যকারীভাবে ভাববিনিময় করতে পারবে

নিজের স্বাস্থ্যের যত্ন নিতে পারবে

ব্যক্তিগত টাকাপয়সার বিষয়টা সামলাতে পারবে

একটা ঘর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে বা দেখাশোনা করতে পারবে

নিজের থেকে অনুপ্রাণিত হতে পারবে

[১২ পৃষ্ঠার চিত্র]

আপনার কিশোরবয়সি সন্তান যদি দায়িত্বের সঙ্গে আচরণ করে, তাহলে আপনি কি তাকে আরেকটু স্বাধীনতা দেওয়ার বিষয়ে তার ওপর আস্থা রাখতে পারেন?