সরাসরি বিষয়বস্তুতে যান

সরাসরি বিষয়সূচিতে যান

দেখুন! আশ্চর্য জ্যোতি!

দেখুন! আশ্চর্য জ্যোতি!

দেখুন! আশ্চর্য জ্যোতি!

 আপনার যদি কখনো অন্ধকারে পথ হাতড়ে বেড়ানোর অভিজ্ঞতা হয়ে থাকে, তা হলে আপনি জানেন যে সেটা কতটা হতাশাজনক হতে পারে। জ্যোতি বা আলো কত স্বস্তিই না নিয়ে আসে! এ ছাড়া, আপনি হয়তো এমন এক পরিস্থিতিতে ছিলেন, যেটাকে অন্ধকারের সঙ্গে তুলনা করা যেতে পারে। সম্ভবত এটা তখন হয়েছিল, যখন আপনি একটা সমস্যাকে কোনোভাবেই সমাধান করতে পারছিলেন না। এরপর ধীরে ধীরে আপনি আলো—একটা সমাধান—দেখতে পেয়েছিলেন। এইরকম অন্ধকার থেকে বেরিয়ে আলোতে আসা এক আশ্চর্য অভিজ্ঞতা।

প্রথম শতাব্দীতে, বেশির ভাগ লোকই আধ্যাত্মিক অন্ধকারে ছিল। যারা তাদের পূর্বের বিশ্বাস ত্যাগ করে খ্রিস্টধর্ম গ্রহণ করেছিল, তাদের উদ্দেশে প্রেরিত পিতর লিখেছিলেন: “[ঈশ্বর] তোমাদিগকে অন্ধকার হইতে আপনার আশ্চর্য্য জ্যোতির মধ্যে আহ্বান করিয়াছেন।” (১ পিতর ২:৯) তাদের জন্য এটা ছিল ঘুটঘুটে অন্ধকার থেকে উজ্জ্বল জ্যোতিতে আসার মতো এক পরিবর্তন। এটাকে হয়তো আশাহীনভাবে একা থাকা ও এরপর নিরাপদ ভবিষ্যৎসহ এক পরিবারের সদস্য হয়ে ওঠার সঙ্গেও তুলনা করা যেতে পারে।—ইফিষীয় ২:১, ১২.

“তুমি আপন প্রথম প্রেম পরিত্যাগ করিয়াছ”

প্রাথমিক খ্রিস্টানরা “সত্য”—প্রকৃত খ্রিস্টীয় বিশ্বাস—খুঁজে পেয়েছিল। (যোহন ১৮:৩৭) তারা সত্যের আশ্চর্য জ্যোতি দেখতে পেয়েছিল এবং আধ্যাত্মিক অন্ধকার থেকে আলোকিত জ্যোতিতে এসেছিল। কিন্তু, সময় অতিক্রান্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে, কিছু খ্রিস্টানের প্রারম্ভিক উদ্দীপনা এবং উৎসাহ শীতল হয়ে গিয়েছিল। উদাহরণস্বরূপ, প্রথম শতাব্দীর শেষের দিকে, ইফিষ মণ্ডলীতে এক গুরুতর সমস্যা দেখা দিয়েছিল। পুনরুত্থিত যিশু খ্রিস্ট সেই সমস্যাটাকে এই বলে শনাক্ত করেছিলেন: “তোমার বিরুদ্ধে আমার কথা আছে, তুমি আপন প্রথম প্রেম পরিত্যাগ করিয়াছ। অতএব স্মরণ কর, কোথা হইতে পতিত হইয়াছ, এবং মন ফিরাও ও প্রথম কর্ম্ম সকল কর।” (প্রকাশিত বাক্য ২:৪, ৫) ইফিষের খ্রিস্টানদের, ঈশ্বর ও সত্যের প্রতি তাদের প্রেমকে পুনরুজ্জীবিত করা প্রয়োজন ছিল।

আমাদের সম্বন্ধে কী বলা যায়? আমরাও সেই জ্যোতি দেখার আনন্দ উপভোগ করেছি, ঈশ্বরের বাক্যের চমৎকার সত্য সম্বন্ধে জানতে পেরেছি। আমরা সত্যকে ভালবেসেছি। কিন্তু, মানবজাতির সাধারণ প্রতিবন্ধকতাগুলো সত্যের প্রতি আমাদের ভালবাসাকে ম্লান করে দিতে পারে। এর সঙ্গে ‘শেষ কালের’ বৈশিষ্ট্যপূর্ণ সমস্যাগুলো যুক্ত হতে পারে। আমরা এমন এক পৃথিবীতে বাস করছি, যা ‘বিষম সময়ের’—“আত্মপ্রিয়, অর্থপ্রিয়, আত্মশ্লাঘী, অভিমানী, ধর্ম্মনিন্দক, পিতামাতার অবাধ্য, অকৃতজ্ঞ, অসাধু” লোকেদের দিয়ে পূর্ণ এক জগতের—দ্বারা বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত। (২ তীমথিয় ৩:১-৩) তাদের প্রভাব আমাদের উদ্যোগকে ম্লান করে দিতে এবং যিহোবার প্রতি আমাদের ভালবাসাকে শীতল করে দিতে পারে।

আমরা যদি আমাদের প্রথম প্রেম হারিয়ে ফেলি, তা হলে আমরা ‘কোথা হইতে পতিত হইয়াছি,’ তা ‘স্মরণ করিতে’ এবং ‘মন ফিরাইতে’ হবে। আমাদের পূর্বের আধ্যাত্মিক অবস্থায় ফিরে আসতে হবে। অধিকন্তু, আমাদের সতর্ক থাকতে হবে যেন সত্যের প্রতি আমাদের উপলব্ধিবোধ কমে না যায়। এটা কতই না গুরুত্বপূর্ণ যে, আমরা প্রত্যেকে যেন এক ইতিবাচক ও আনন্দপূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি বজায় রাখি এবং ঈশ্বর ও তাঁর সত্যের প্রতি আমাদের ভালবাসাকে জীবন্ত রাখি!

‘যে সত্য আমাদের স্বাধীন করে’

শাস্ত্রীয় সত্যের জ্যোতি আশ্চর্য কারণ বাইবেল সেই গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নগুলোর উত্তর জোগায়, যেগুলো হাজার হাজার বছর ধরে মানবজাতিকে হতবুদ্ধি করেছে। সেগুলোর মধ্যে কয়েকটা হল: কেন আমরা এখানে রয়েছি? জীবনের উদ্দেশ্য কী? কেন মন্দতা রয়েছে? মৃত্যুর পরেও কি জীবন আছে? যিহোবা আমাদেরকে চমৎকার সত্য মতবাদ দ্বারা জ্ঞানালোক প্রদান করেছেন। এর জন্য কি সত্যিই আমাদের কৃতজ্ঞ হওয়া উচিত নয়? আমরা যা শিখেছি, সেই বিষয়গুলোকে যেন কখনো হালকা করে না নিই!

যিশু তাঁর শিষ্যদের বলেছিলেন: “তোমরা সেই সত্য জানিবে, এবং সেই সত্য তোমাদিগকে স্বাধীন করিবে।” (যোহন ৮:৩২) যিশুর মুক্তির মূল্যরূপ বলিদান পাপ ও মৃত্যু থেকে স্বাধীন হওয়া সম্ভবপর করেছে। কিন্তু সেই মূল্যবান সত্যগুলো, অন্ধকারাচ্ছন্ন এক জগতের অজ্ঞতা ও অনিশ্চয়তাগুলো থেকেও আমাদের স্বাধীন করেছে। আমরা যা শিখেছি, তা নিয়ে উপলব্ধি সহকারে ধ্যান করা আমাদেরকে যিহোবা এবং তাঁর বাক্যের প্রতি আমাদের ভালবাসাকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করবে।

থিষলনীকীর খ্রিস্টানদের উদ্দেশে প্রেরিত পৌল লিখেছিলেন: “আমাদের কাছে ঈশ্বরের বার্ত্তারূপ বাক্য প্রাপ্ত হইয়া তোমরা মনুষ্যদের বাক্য নয়, কিন্তু ঈশ্বরের বাক্য বলিয়া তাহা গ্রহণ করিয়াছিলে; তাহা ঈশ্বরের বাক্যই বটে, এবং বিশ্বাসী যে তোমরা, তোমাদের মধ্যে নিজ কার্য্য সাধনও করিতেছে।” (১ থিষলনীকীয় ২:১৩) থিষলনীকীয়রা শুনেছিল এবং ‘আনন্দে [ঈশ্বরের] বাক্য গ্রহণ করিয়াছিল।’ তারা আর “অন্ধকারে” থাকেনি। এর পরিবর্তে, তারা “দীপ্তির সন্তান” হয়ে উঠেছিল। (১ থিষলনীকীয় ১:৪-৭; ৫:৪, ৫) সেই খ্রিস্টানরা জানতে পেরেছিল যে, যিহোবা হলেন সৃষ্টিকর্তা আর তাই তিনি সর্বশক্তিমান, বিজ্ঞ, প্রেমময় এবং করুণাময়। খ্রিস্টের অন্যান্য অনুসারীর মতো তারাও শিখেছিল যে, যিহোবা তাঁর পুত্র, যিশু খ্রিস্টের মুক্তির মূল্যের দ্বারা তাদের পাপ মুছে ফেলার ব্যবস্থা করেছেন।—প্রেরিত ৩:১৯-২১.

যদিও বাইবেল সম্পর্কে থিষলনীকীয়দের সম্পূর্ণ জ্ঞান ছিল না কিন্তু তারা জানত যে, কোথায় সেই জ্ঞানের খোঁজ করতে হবে। অনুপ্রাণিত শাস্ত্র ঈশ্বরের লোককে “পরিপক্ব, সমস্ত সৎকর্ম্মের জন্য সুসজ্জীভূত” করে তুলতে পারে। (২ তীমথিয় ৩:১৬, ১৭) থিষলনীকীর খ্রিস্টানরা অধ্যয়ন চালিয়ে যেতে পারত, বার বার এই অভিজ্ঞতা লাভ করতে পারত যে, ঈশ্বরের কাছ থেকে আসা জ্যোতি সত্যিই আশ্চর্যজনক। তাদের সবসময় আনন্দ করার কারণ ছিল। (১ থিষলনীকীয় ৫:১৬) আর আমাদেরও রয়েছে।

আমাদের পথের জ্যোতি

সেই আলোক বা জ্যোতি কেন বিস্ময়কর তার কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে গীতরচক গেয়েছিলেন: “তোমার বাক্য আমার চরণের প্রদীপ, আমার পথের আলোক।” (গীতসংহিতা ১১৯:১০৫) ঈশ্বরের বাক্য থেকে আমরা যে-নির্দেশনা লাভ করি, তা আমাদের জীবনধারা সম্বন্ধে বিজ্ঞতার সঙ্গে পরিকল্পনা করতে এবং এক অর্থপূর্ণ জীবন উপভোগ করতে সাহায্য করতে পারে। আমাদের এক ভাসমান জাহাজের মতো হওয়ার দরকার নেই। সত্য জানা ও প্রয়োগ করা আমাদেরকে ‘তরঙ্গাহত এবং যে সে শিক্ষাবায়ুতে ইতস্ততঃ পরিচালিত হওয়া’ থেকে রক্ষা করে।—ইফিষীয় ৪:১৪.

বাইবেল বলে, “তোমরা নির্ভর করিও না রাজন্যগণে, বা মনুষ্য-সন্তানে, যাহার নিকটে ত্রাণ নাই।,” এটি আরও বলে: “ধন্য সেই, যাহার সহায় যাকোবের ঈশ্বর, যাহার আশাভূমি সদাপ্রভু, তাহার ঈশ্বর।” (গীতসংহিতা ১৪৬:৩, ৫) অধিকন্তু, যিহোবার ওপর আস্থা রাখা আমাদেরকে ভয় ও উদ্বেগ কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করে। প্রেরিত পৌল লিখেছিলেন: “কোন বিষয়ে ভাবিত হইও না, কিন্তু সর্ব্ববিষয়ে প্রার্থনা ও বিনতি দ্বারা ধন্যবাদ সহকারে তোমাদের যাচ্ঞা সকল ঈশ্বরকে জ্ঞাত কর। তাহাতে সমস্ত চিন্তার অতীত যে ঈশ্বরের শান্তি, তাহা তোমাদের হৃদয় ও মন খ্রীষ্ট যীশুতে রক্ষা করিবে।” (ফিলিপীয় ৪:৬, ৭) ঈশ্বরের বাক্যের জ্যোতির দ্বারা পরিচালিত হওয়া আমাদের সত্যিই উপকৃত করে।

জগতে জ্যোতির্গণের ন্যায় প্রকাশিত হোন

ঈশ্বরের বাক্যের জ্যোতি যেকারণে আশ্চর্যজনক, তার আরেকটা কারণ হল, এটা মানুষের কাছে প্রাপ্তিসাধ্য সবচেয়ে সম্মানীয় কার্যভার পাওয়ার দরজা খুলে দেয়। যিশু তাঁর অনুসারীদের নির্দেশনা দিয়েছিলেন: “তোমরা গিয়া সমুদয় জাতিকে শিষ্য কর; পিতার ও পুত্ত্রের ও পবিত্র আত্মার নামে তাহাদিগকে বাপ্তাইজ কর; আমি তোমাদিগকে যাহা যাহা আজ্ঞা করিয়াছি, সে সমস্ত পালন করিতে তাহাদিগকে শিক্ষা দেও। আর দেখ, আমিই যুগান্ত পর্য্যন্ত প্রতিদিন তোমাদের সঙ্গে সঙ্গে আছি।” তিনি এই আজ্ঞার শুরুতে বলেছিলেন: “স্বর্গে ও পৃথিবীতে সমস্ত কর্ত্তৃত্ব আমাকে দত্ত হইয়াছে।”—মথি ২৮:১৮-২০.

সমুদয় জাতির কাছে সুসমাচার প্রচার কাজে এবং বাইবেলের সত্য শিক্ষা দিতে কে সত্য খ্রিস্টানদের সহযোগিতা করছেন, তা বিবেচনা করুন। যিশু তাঁর অনুসারীদের কাছে প্রতিজ্ঞা করেছিলেন যে, তিনি তাদের সঙ্গে সঙ্গে থাকবেন। তিনি প্রকৃতপক্ষে তাদের পরিচর্যায় তাদেরকে সাহায্য এবং সমর্থন করে আসছেন, যখন তারা এই উপায়ে এবং অন্যান্য ‘সৎক্রিয়ার’ মাধ্যমে ‘তাহাদের দীপ্তি উজ্জ্বল হইতে দেয়।’ (মথি ৫:১৪-১৬) এই সুসমাচার প্রচার কাজে দূতেরাও জড়িত আছে। (প্রকাশিত বাক্য ১৪:৬) আর যিহোবা ঈশ্বর সম্বন্ধেই বা কী বলা যায়? প্রেরিত পৌল লিখেছিলেন: “আমি রোপণ করিলাম, আপল্লো জল সেচন করিলেন, কিন্তু ঈশ্বর বৃদ্ধি দিতে থাকিলেন।” ‘ঈশ্বরের সহকার্য্যকারীদের’ মধ্যে থাকা কতই না সম্মানজনক!—১ করিন্থীয় ৩:৬, ৯.

ঈশ্বর নিযুক্ত এই কাজে আমাদের প্রচেষ্টা কীভাবে আশীর্বাদপ্রাপ্ত হয়, তা-ও চিন্তা করুন। ‘জগতে জ্যোতির্গণের ন্যায় প্রকাশ পাইবার’ ঈশ্বরদত্ত এই বিশেষ সুযোগের সঙ্গে আর কোনোকিছুরই তুলনা চলে না। আমাদের কথা ও কাজের মাধ্যমে ঈশ্বরের বাক্যের জ্যোতি প্রতিফলিত করার দ্বারা আমরা সৎহৃদয়ের ব্যক্তিদের কাছে প্রকৃত সাহায্য জোগাতে সক্ষম হই। (ফিলিপীয় ২:১৫) আর আমরা উদ্যোগের সঙ্গে প্রচার ও শিক্ষাদানের কাজ করার সময় আনন্দিত হতে পারি, ‘কেননা ঈশ্বর অন্যায়কারী নহেন; আমাদের কার্য্য, এবং তাঁহার নামের প্রতি প্রদর্শিত আমাদের প্রেম, এই সকল তিনি ভুলিয়া যাইবেন না।’—ইব্রীয় ৬:১০.

‘চক্ষুতে লেপনীয় অঞ্জন ক্রয় কর’

প্রথম শতাব্দীর লায়দিকেয়া মণ্ডলীকে দেওয়া এক বার্তায় যিশু বলেছিলেন: “তুমি আমার কাছে . . . ক্রয় কর . . . চক্ষুতে লেপনীয় অঞ্জন, যেন দেখিতে পাও। আমি যত লোককে ভালবাসি, সেই সকলকে অনুযোগ করি ও শাসন করি।” (প্রকাশিত বাক্য ৩:১৮, ১৯) আধ্যাত্মিক অন্ধত্বের নিশ্চিত প্রতিকার হচ্ছে “অঞ্জন”—যিশুর শিক্ষা ও শাসন। আমরা যদি এক সঠিক আধ্যাত্মিক দৃষ্টিভঙ্গি বজায় রাখতে চাই, তা হলে আমাদের অবশ্যই তাঁর পরামর্শ গ্রহণ করতে ও এর বশীভূত হতে হবে এবং সেইসঙ্গে সমগ্র বাইবেলে পাওয়া নির্দেশনারও বশীভূত হতে হবে। এ ছাড়া, আমাদের খ্রিস্টের মতো মনোভাব গ্রহণ করা ও তাঁর উদাহরণ অনুকরণ করা উচিত। (ফিলিপীয় ২:৫; ১ পিতর ২:২১) এই অঞ্জন বিনামূল্যে পাওয়া যায় না। যিশু বলেছিলেন: “আমার কাছে [এটা] ক্রয় কর।” এই মূল্যের অন্তর্ভুক্ত আমাদের সময় ও প্রচেষ্টা।

আমরা যখন এক অন্ধকারময় জায়গা থেকে একটা আলোকিত ঘরে প্রবেশ করি, তখন হয়তো আমাদের চোখকে সইয়ে নিতে কিছুটা সময় লাগতে পারে। একইভাবে, ঈশ্বরের বাক্য অধ্যয়ন করতে এবং সত্যের জ্যোতি দেখার জন্যও সময়ের প্রয়োজন। আমরা যা শিখি, তা নিয়ে ধ্যান করার জন্য এবং সত্য কতটা মূল্যবান, তা প্রতিফলিত করার জন্য সময়ের প্রয়োজন। তবুও, এই মূল্য খুব বেশি কিছু নয়। কেন? কারণ সেই জ্যোতি হল আশ্চর্যজনক!

[১৪ পৃষ্ঠার চিত্র]

‘তুমি আমার কাছে চক্ষুতে লেপনীয় অঞ্জন ক্রয় কর, যেন দেখিতে পাও’