সরাসরি বিষয়বস্তুতে যান

সরাসরি বিষয়সূচিতে যান

আশা জাগিয়ে তোলে এমন এক শিক্ষা

আশা জাগিয়ে তোলে এমন এক শিক্ষা

ঈশ্বর অদূর ভবিষ্যতে চমৎকার পরিবর্তনগুলো করার প্রতিজ্ঞা করেছেন। তিনি দুঃখকষ্ট শেষ করবেন আর মানবজাতিকে পৃথিবীতে এক সুখী জীবন দেবেন। (গীতসংহিতা ৩৭:১১) কেন আমরা এই প্রতিজ্ঞার উপর বিশ্বাস করতে পারি? কারণ “ঈশ্বর মনুষ্য নহেন যে মিথ্যা বলিবেন।” (গণনাপুস্তক ২৩:১৯) ঈশ্বর যে-ভালো বিষয়গুলো করবেন, সেগুলোর কয়েকটা নিয়ে বিবেচনা করুন।

ঈশ্বর দুষ্ট লোকদের শেষ করবেন

“দুষ্টগণ যখন তৃণের ন্যায় অঙ্কুরিত হয়, অধর্ম্মাচারী সকলে যখন প্রফুল্ল হয়, তখন তাহাদের চির-বিনাশের জন্য সেইরূপ হয়।”—গীতসংহিতা ৯২:৭.

আগের প্রবন্ধে আমরা জেনেছি, দুষ্টতা দিনের পর দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর এতে আমরা অবাক হই না। কারণ বাইবেলে ২ তীমথিয় ৩:১-৫ পদে ভবিষ্যদ্‌বাণী করা হয়েছিল যে, “শেষকালে” লোকেরা এতটাই মন্দ হয়ে উঠবে, যা আগে কখনো হয়নি। শীঘ্রই ঈশ্বর সেই সমস্ত ব্যক্তিকে শেষ করবেন, যারা তাদের মন্দ কাজ পরিবর্তন করতে চায় না। এরপর, পৃথিবীতে শুধুমাত্র সেই লোকেরাই থাকবে, যারা ঈশ্বরের বাধ্য হবে। “ধার্ম্মিকেরা দেশের অধিকারী হইবে, তাহারা নিয়ত তথায় বাস করিবে।”—গীতসংহিতা ৩৭:২৯.

ঈশ্বর শয়তানকে ধ্বংস করবেন

“কারণ শান্তির ঈশ্বর শীঘ্র শয়তানকে তোমাদের পায়ের নীচে চূর্ণবিচূর্ণ করবেন।”—রোমীয় ১৬:২০.

দুষ্ট লোকেরা, শয়তান ও তার মন্দদূতেরা ধ্বংস হওয়ার পর পৃথিবীব্যাপী শান্তি বিরাজ করবে। আমাদের সৃষ্টিকর্তা প্রতিজ্ঞা করেন: “কেহ তাহাদিগকে ভয় দেখাইবে না।”—মীখা ৪:৪.

ঈশ্বর অসুস্থতা ও মৃত্যু সরিয়ে দেবেন

“মানুষের মাঝে ঈশ্বরের তাঁবু আর . . . তিনি তাদের চোখের সমস্ত জল মুছে দেবেন এবং মৃত্যু আর থাকবে না; শোক বা আর্তনাদ বা ব্যথা আর থাকবে না।”—প্রকাশিত বাক্য ২১:৩, ৪.

শয়তান, আদম, হবা এবং আমাদের নিজেদের অসিদ্ধতার কারণে হওয়া সমস্ত ক্ষয়ক্ষতিকে ঈশ্বর পূরণ করে দেবেন। আর এভাবে দুঃখকষ্ট ও অসুস্থতা শেষ হবে। এর ফলে, এমনকী “মৃত্যু আর থাকবে না।” যারা সৃষ্টিকর্তাকে ভালোবাসে এবং তাঁর বাধ্য হয়, তারা চিরকাল বেঁচে থাকবে। কিন্তু, তারা কোথায় থাকবে?

আমাদের সৃষ্টিকর্তা পৃথিবীকে পরমদেশে পরিণত করবেন

“প্রান্তর ও জলশূন্য স্থান আমোদ করিবে, মরুভূমি উল্লাসিত হইবে, গোলাপের ন্যায় উৎফুল্ল হইবে।”—যিশাইয় ৩৫:১.

ঈশ্বর যখন দুষ্টতা শেষ করবেন, তখন পৃথিবী পরমদেশ হয়ে উঠবে। সেখানে সুন্দর সুন্দর পার্ক ও বাগান থাকবে আর প্রচুর খাবার থাকবে। (গীতসংহিতা ৭২:১৬) সমুদ্র, হ্রদ ও নদীর জল বিশুদ্ধ হবে আর সেগুলোতে প্রচুর প্রাণী থাকবে। “দূষণ” এই শব্দটা আমরা চিরকালের জন্য ভুলে যাব। লোকেরা নিজেদের তৈরি করা বাড়িতে বসবাস করবে। আর কেউ কখনোই গৃহহীন, ক্ষুধার্ত অথবা গরিব হবে না।—যিশাইয় ৬৫:২১, ২২.

ঈশ্বর মৃতদের জীবন ফিরিয়ে দেবেন

“পুনরুত্থান হবে।”—প্রেরিত ২৪:১৫.

আপনি কি আপনার মৃত প্রিয়জনদের আবার দেখতে চান? সর্বশক্তিমান ঈশ্বর তাদের পরমদেশ পৃথিবীতে পুনরুত্থিত করবেন অর্থাৎ তাদের জীবন ফিরিয়ে দেবেন। আপনি তাদের চিনতে পারবেন আর তারাও আপনাকে চিনতে পারবে। সেই সময়ে, আপনারা উভয়েই যে কতটা আনন্দিত হবেন, তা একটু কল্পনা করুন! কেন আমরা এই প্রত্যাশার বিষয়ে এতটাই নিশ্চিত হতে পারি? এর কারণ হল বাইবেলে এমন ছেলেমেয়ে ও প্রাপ্তবয়স্কদের ঘটনা রয়েছে, যারা মারা যাওয়ার পর তাদের জীবন ফিরে পেয়েছিল আর পুনরায় তাদের পরিবারের সঙ্গে মিলিত হয়েছিল। শুধু তা-ই নয়, যিশু প্রায়ই অনেক প্রত্যক্ষদর্শীর সামনে মৃতদের পুনরুত্থিত করেছিলেন।—লূক ৮:৪৯-৫৬; যোহন ১১:১১-১৪, ৩৮-৪৪.