সরাসরি বিষয়বস্তুতে যান

সরাসরি বিষয়সূচিতে যান

আপনি কি অন্যদের সাহায্য করতে পারেন, তা তারা যেকোনো বয়স, জাতি কিংবা ধর্মেরই হোন না কেন?

যারা অন্যদের সাহায্য করে, তারা আশীর্বাদ লাভ করে

যারা অন্যদের সাহায্য করে, তারা আশীর্বাদ লাভ করে

সারা বিশ্বে অনেক লোকের কাছেই দু-বেলা দু-মুঠো খাবার ও মাথা গোঁজার ঠাই নেই। কেউ কেউ ভালো ভবিষ্যতের বিষয়ে আশা হারিয়ে ফেলেছে। আমরা যখন এইরকম ব্যক্তিদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিই, তখন আমরা সৃষ্টিকর্তার অনুমোদন ও আশীর্বাদ লাভ করি।

পবিত্র শাস্ত্র যা বলে

“যে দরিদ্রকে কৃপা করে, সে সদাপ্রভুকে ঋণ দেয়; তিনি তাহার সেই উপকারের পরিশোধ করিবেন।”—হিতোপদেশ ১৯:১৭.

আমরা যেভাবে অন্যদের সাহায্য করতে পারি

যিশু একটা নীতিগল্প বলেছিলেন, যেখানে একজন ব্যক্তিকে ডাকাতেরা আক্রমণ করে এবং মৃতপ্রায় অবস্থায় ফেলে রেখে চলে যায়। (লূক ১০:২৯-৩৭) একজন অপরিচিত ব্যক্তি সেই গুরুতরভাবে আহত ব্যক্তিকে দেখতে পেয়ে থামেন এবং তার সেবাযত্ন করেন। তার নিজের সামাজিক পটভূমি ভিন্ন হওয়া সত্ত্বেও তিনি সেই ব্যক্তিকে সাহায্য করেন।

এই সদয় ব্যক্তি যে আহত ব্যক্তির শুধুমাত্র প্রাথমিক চিকিৎসা করেছিলেন এবং তাকে বস্তুগত সাহায্য প্রদান করেছিলেন এমন নয় বরং সেইসঙ্গে তাকে সান্ত্বনা ও স্বস্তি পেতেও সাহায্য করেছিলেন।

আমরা এই নীতিগল্প থেকে কী শিখি? যিশু দেখিয়েছেন যে, অন্যদের সাহায্য করার জন্য আমাদের পক্ষে যতটা সম্ভব, ততটা করা উচিত। (হিতোপদেশ ১৪:৩১) পবিত্র বাক্য শিক্ষা দেয়, সৃষ্টিকর্তা শীঘ্রই দরিদ্রতা এবং দুঃখকষ্ট দূর করবেন। কিন্তু আমরা হয়তো ভাবতে পারি, সৃষ্টিকর্তা কীভাবে ও কখন এমনটা করবেন? আপনার প্রেমময় সৃষ্টিকর্তা আপনার জন্য যে-আশীর্বাদগুলো রেখেছেন, সেই সম্বন্ধে পরবর্তী প্রবন্ধে আলোচনা করা হবে।