সরাসরি বিষয়বস্তুতে যান

সরাসরি বিষয়সূচিতে যান

আপনার কি মনে আছে?

আপনার কি মনে আছে?

আপনার কি মনে আছে?

আপনি কি গত কয়েক মাসের প্রহরীদুর্গ পত্রিকাগুলো মন দিয়ে পড়েছেন? যদি পড়ে থাকেন, তাহলে দেখুন আপনি নীচের এই প্রশ্নগুলোর উত্তর দিতে পারেন কি না:

কীভাবে আমরা অসংযত কথাবার্তার আগুন নেভাতে পারি?

আমাদের নিজেদের হৃদয় পরীক্ষা করে দেখা উচিত। একজন ভাইয়ের সমালোচনা না করে বরং এই ধরনের মনোভাবের পিছনে কী থাকতে পারে, তা বিশ্লেষণ করে দেখুন না কেন? আমরা কি নিজেদেরকে আরও ভালো দেখানোর জন্য তার সমালোচনা করে ফেলতে পারি? সর্বোপরি, সমালোচনা করা আগুনে ঘি ঢেলে দেওয়ার মতো হতে পারে।—৮/১৫, পৃষ্ঠা ২১.

ঈশ্বর কি মানুষকে পৃথিবী ধ্বংস করতে দেবেন?

ঈশ্বর মানুষকে পৃথিবী ধ্বংস করতে দেবেন না। বাইবেল আমাদেরকে আশ্বাস দেয় যে, যিহোবা পৃথিবীকে “অনর্থক” সৃষ্টি করেননি। এর পরিবর্তে, তিনি এটাকে “বাসস্থানার্থে” নির্মাণ করেছেন। (যিশা. ৪৫:১৮) মানুষের দ্বারা পৃথিবীকে পুরোপুরি ধ্বংস হতে না দিয়ে ঈশ্বর “পৃথিবীনাশকদিগকে নাশ” করবেন।—প্রকা. ১১:১৮.—৭/১, পৃষ্ঠা ৪.

যিহোবার দিন শুরু হওয়ার আগে, কোন ঘটনাগুলো ঘটবে?

“শান্তি ও অভয়” ঘোষণা করা হবে। জাতিগণ মহতী বাবিলকে আক্রমণ করবে এবং এটাকে ধ্বংস করে দেবে। তখন ঈশ্বরের লোকেদের ওপরও আক্রমণ আসবে। আরমাগিদোনের যুদ্ধ শুরু হবে এবং এর পর পরই শয়তান ও তার মন্দ দূতদের অগাধলোকে নিক্ষেপ করা হবে।—৯/১৫, পৃষ্ঠা ৪.

কখন শেষ আসবে, সেই সম্বন্ধে না জানার ফলে কীভাবে আমরা উপকার লাভ করি?

কোন দিনে বা দণ্ডে শেষ আসবে, তা না জানার ফলে আমাদের হৃদয়ের প্রকৃত অবস্থা প্রকাশ পায়। এটা আমাদেরকে ঈশ্বরের হৃদয়কে আনন্দিত করার এক সুযোগ করে দেয়। এটা আমাদেরকে এক আত্মত্যাগমূলক জীবনের অনুধাবন করতে উৎসাহিত করে এবং ঈশ্বর ও তাঁর বাক্যের ওপর আরও পূর্ণরূপে নির্ভর করতে সাহায্য করে। সর্বোপরি, এটা বর্তমান দুর্দশাগুলোর দ্বারা আমাদেরকে পরিশোধিত করার সুযোগ দেয়।—৯/১৫, পৃষ্ঠা ২৪-২৫.

কীভাবে ঈশ্বরের আইন আমাদের রক্ষা করতে পারে?

ঈশ্বরের আইন বিয়ের বাইরে যৌনসম্পর্ক করাকে নিষেধ করে। (ইব্রীয় ১৩:৪) যে-দম্পতিরা এই আইনের বাধ্য হয়, তারা আরও বেশি সুরক্ষিত বোধ করে এবং তাদের সন্তানদের জন্য আরও ভালো এক পরিবেশ সৃষ্টি করে। অন্যদিকে, বিয়ের বাইরে যৌনসম্পর্কের ফলে বিভিন্ন রোগ, বিবাহবিচ্ছেদ, দৌরাত্ম্য এবং আবেগগত যন্ত্রণা ভোগ করতে হয় আর একক বাবা অথবা মায়ের পরিবারগুলোর সৃষ্টি হয়।—পড়ুন, হিতোপদেশ ৫:১-৯.—৭/১, পৃষ্ঠা ১৬.

প্রকাশিত বাক্য ১:১৬, ২০ পদে উল্লেখিত যিশুর দক্ষিণ হস্তে “সপ্ত তারা” কাদের চিত্রিত করে?

“তারা” মণ্ডলীর আত্মায় অভিষিক্ত অধ্যক্ষদের এবং ব্যাপক অর্থে সমস্ত অধ্যক্ষকে চিত্রিত করে।—১০/১৫, পৃষ্ঠা ১৪.

কীভাবে আমরা মন্দ আত্মাদের প্রভাব থেকে মুক্ত হতে পারি?

যারা যিহোবার আশীর্বাদ লাভ করবে, তাদের সকলের উদ্দেশে শাস্ত্র এই জোরালো পরামর্শ দেয়: “তোমরা ঈশ্বরের বশীভূত হও; কিন্তু দিয়াবলের প্রতিরোধ কর, তাহাতে সে তোমাদের হইতে পলায়ন করিবে। ঈশ্বরের নিকটবর্ত্তী হও, তাহাতে তিনিও তোমাদের নিকটবর্ত্তী হইবেন।” (যাকোব ৪:৭, ৮) যিহোবা ঈশ্বর আপনাকে মন্দ আত্মাদের প্রভাব থেকে মুক্ত হতে সাহায্য করতে পারেন এবং তিনি তা করবেন, যদি আপনি তা চান।—১০/১, পৃষ্ঠা ২৮.

কীভাবে যিশু এক নম্র মনোভাব প্রদর্শন করেছিলেন, যা যিশাইয় ৫০:৪, ৫ পদে উল্লেখ করা হয়েছে?

সেই পদগুলো বলে যে, যার “শিক্ষাগ্রাহীদের জিহ্বা” রয়েছে, তিনি ‘পারঙ্মুখ হইবেন না।’ যিশু এক নম্র মনোভাব প্রদর্শন করেছিলেন এবং তাঁর পিতা তাঁকে যে-শিক্ষা প্রদান করেছিলেন, তাতে গভীর মনোযোগ দিয়েছিলেন। যিশু যিহোবার কাছ থেকে শিখতে উৎসুক ও ইচ্ছুক ছিলেন এবং পাপী মানবজাতির প্রতি করুণা দেখানোর ক্ষেত্রে ঈশ্বর যে-নম্রতার উদাহরণ দেখিয়েছেন, তা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করেছিলেন।—১১/১৫, পৃষ্ঠা ১১.

প্রকৃত সুখের উস কী?

আমরা চাই এমন সমস্ত সম্পদ সঞ্চয় করা অথবা আরামদায়ক জীবনযাপন করা, প্রকৃত সুখ নিয়ে আসে না। যিশু নিজেই বলেছিলেন: “গ্রহণ করা অপেক্ষা বরং দান করা ধন্য হইবার বিষয়।” হ্যাঁ, অন্যদের সাহায্য করার এবং তাদের কাছে উৎসাহের উৎস হওয়ার জন্য আমাদের যা আছে, তা ব্যবহার করার দ্বারা সুখ ও পরিতৃপ্তি লাভ করা যায়।—প্রেরিত ২০:৩৫.—১০/১, পৃষ্ঠা ৩২.