সরাসরি বিষয়বস্তুতে যান

সরাসরি বিষয়সূচিতে যান

প্রতারিত হওয়া এড়িয়ে চলুন

প্রতারিত হওয়া এড়িয়ে চলুন

প্রতারিত হওয়া এড়িয়ে চলুন

 প্রতারণা প্রায় মানবজাতির মতোই পুরনো। ইতিহাসের লিপিবদ্ধ ঘটনাগুলোর মধ্যে প্রথমটা ছিল প্রতারিত হওয়ার ঘটনা। সেটা ঘটেছিল যখন শয়তান এদন উদ্যানে হবাকে ভুলিয়েছিল।—আদিপুস্তক ৩:১৩; ১ তীমথিয় ২:১৪.

যদিও তখন থেকে কখনও এমন সময় আসেনি যখন প্রতারণা পৃথিবীতে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েনি কিন্তু আজকে বিশেষ করে এটা পৃথিবীতে ছেয়ে গেছে। আধুনিক সময়ের কথা চিন্তা করে, বাইবেলে সাবধান করে দেওয়া হয়েছিল: “দুষ্ট লোকেরা ও বঞ্চকেরা, পরের ভ্রান্তি জন্মাইয়া ও আপনারা ভ্রান্ত হইয়া, উত্তর উত্তর কুপথে অগ্রসর হইবে।”—২ তীমথিয় ৩:১৩.

বিভিন্ন কারণে লোকেরা প্রতারিত হয়। প্রতারক ও মিথ্যা প্রতিশ্রুতিকারীরা অন্যদের টাকাপয়সা হাতিয়ে নেওয়ার জন্য সেই ব্যক্তিদের প্রতারিত করে। কিছু রাজনীতিবিদ যেকোন মূল্যে ক্ষমতায় থাকার জন্য তাদের ভোটদাতাদের প্রতারিত করে। এমনকি লোকেরা নিজেদেরও প্রতারিত করে। অপ্রিয় সত্যের মুখোমুখি না হয়ে তারা নিজেদের বিশ্বাস করায় যে, ধূমপান, নেশাকর ওষুধের অপব্যবহার অথবা যৌন অনৈতিকতা এইরকম বিপদজনক অভ্যাসগুলো করার মধ্যে কোন ক্ষতি নেই।

এরপর ধর্মীয় ব্যাপারগুলোতে প্রতারণা রয়েছে। যীশুর দিনে ধর্মীয় নেতারা লোকেদের প্রতারিত করেছিল। এই প্রতারণাকারীদের সম্বন্ধে যীশু বলেছিলেন: “উহারা অন্ধদের অন্ধ পথদর্শক; যদি অন্ধ অন্ধকে পথ দেখায়, উভয়েই গর্ত্তে পড়িবে।” (মথি ১৫:১৪) এ ছাড়া, ধর্মীয় ব্যাপারগুলোতে লোকেরা নিজেদের প্রতারিত করে। হিতোপদেশ ১৪:১২ পদ বলে: “একটী পথ আছে, যাহা মানুষের দৃষ্টিতে সরল; কিন্তু তাহার পরিণাম মৃত্যুর পথ।”

যীশুর দিনের মতো, আজকে অনেকেই ধর্মীয় ব্যাপারগুলোতে প্রতারিত হয় আর এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই! প্রেরিত পৌল বলেছিলেন যে, শয়তান “অবিশ্বাসীদের মন অন্ধ করিয়াছে, যেন ঈশ্বরের প্রতিমূর্ত্তি যে খ্রীষ্ট, তাঁহার গৌরবের সুসমাচার-দীপ্তি তাহাদের প্রতি উদয় না হয়।”—২ করিন্থীয় ৪:৪.

আমরা যদি একজন প্রতারকের দ্বারা প্রতারিত হই, তা হলে আমাদের আর্থিক ক্ষতি হয়। একজন রাজনীতিবিদ যদি আমাদের প্রতারণা করেন, তা হলে ফল হিসেবে আমরা হয়তো কিছুটা স্বাধীনতা হারাতে পারি। কিন্তু শয়তান যদি আমাদের প্রতারণা করে যাতে আমরা যীশু খ্রীষ্ট সম্বন্ধীয় সত্যকে প্রত্যাখ্যান করি, তা হলে আমরা অনন্ত জীবন হারাব! তাই প্রতারিত হওয়া এড়িয়ে চলুন। ধর্মীয় সত্যের এক অভ্রান্ত উৎস বাইবেলকে নিজের মন ও হৃদয় দিয়ে বিবেচনা করুন। আমরা যদি তা না করি, তা হলে বিরাট ক্ষতি হওয়ার ঝুঁকি আমরা নেব।—যোহন ১৭:৩.