সরাসরি বিষয়বস্তুতে যান

সরাসরি বিষয়সূচিতে যান

পরিচালকগোষ্ঠীর দু-জন নতুন সদস্য

পরিচালকগোষ্ঠীর দু-জন নতুন সদস্য

২০২৩ সালের ১৮ই জানুয়ারি, বুধবারে, jw.org ওয়েবসাইটে একটা বিশেষ ঘোষণা করা হয়েছিল। সেটা হল, ভাই গেজ ফ্লিগেল এবং ভাই জেফ্রি উইন্ডারকে যিহোবার সাক্ষিদের পরিচালকগোষ্ঠীর সদস্য হিসেবে সেবা করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এই দু-জন ভাই-ই অনেক লম্বা সময় ধরে বিশ্বস্তভাবে যিহোবার সেবা করে আসছেন।

গেজ ফ্লিগেল এবং তার স্ত্রী নাদিয়া

ভাই গেজ ফ্লিগেল আমেরিকার পেনসিলভানিয়ায় এক সাক্ষি পরিবারে বড়ো হয়ে ওঠেন। তিনি যখন কিশোরবয়সি ছিলেন, তখন তার পরিবার যেখানে বেশি প্রয়োজন, সেখানে গিয়ে সেবা করার জন্য এক ছোট্ট শহরে চলে যায়। এর কিছু সময় পর, ১৯৮৮ সালের নভেম্বর মাসের ২০ তারিখে ভাই ফ্লিগেল বাপ্তিস্ম নেন।

ভাই ফ্লিগেলের বাবা-মা তাকে সবসময় পূর্ণসময়ের সেবা করার জন্য উৎসাহিত করতেন। তারা প্রায়ই সীমা অধ্যক্ষদের এবং বেথেলে সেবা করে এমন ভাই-বোনদের তাদের বাড়িতে আমন্ত্রণ জানাতেন। আর এভাবে ভাই ফ্লিগেল দেখতে পেরেছিলেন যে, পূর্ণসময়ের সেবা করে এই ভাই-বোনেরা কত খুশি। বাপ্তিস্ম নেওয়ার কিছু সময় পর, ১৯৮৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসের ১ তারিখ থেকে তিনি নিয়মিত অগ্রগামীর কাজ শুরু করেন। এর দু-বছর পরেই, তিনি তার একটা লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারেন, যেটা তিনি ১২ বছর বয়সে স্থির করেছিলেন, আর সেটা হল, বেথেলে সেবা করার লক্ষ্য। ১৯৯১ সালের অক্টোবর মাসে ভাই ফ্লিগেল ব্রুকলিন বেথেলে সেবা করতে শুরু করেন।

ভাই ফ্লিগেল বেথেলে আট বছর ধরে সাহিত্যাদি বাঁধাইয়ের কাজ করেন আর এরপর তাকে পরিচর্যা বিভাগে সেবা করার জন্য কার্যভার দেওয়া হয়। সেই সময়ে, কিছু বছরের জন্য তিনি রাশিয়ান ভাষার এক মণ্ডলীতে সেবা করেন। ২০০৬ সালে তিনি নাদিয়া নামের এক বোনকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর বোন তার স্বামীর সঙ্গে বেথেলে সেবা করতে শুরু করেন। একসঙ্গে তারা পোর্তুগিজ মণ্ডলীতে আর দশ বছরের বেশি সময় ধরে তারা স্প্যানিশ মণ্ডলীতে সেবা করেন। পরিচর্যা বিভাগে অনেক বছর সেবা করার পর, ভাই ফ্লিগেলকে টিচিং (শিক্ষাদান সংক্রান্ত) কমিটি অফিস-এ আর পরে সার্ভিস (পরিচর্যা সংক্রান্ত) কমিটি অফিস-এ সেবা করার কার্যভার দেওয়া হয়। ২০২২ সালের মার্চ মাসে তাকে পরিচালকগোষ্ঠীর সার্ভিস (পরিচর্যা সংক্রান্ত) কমিটি-র সাহায্যকারী হিসেবে নিযুক্ত করা হয়।

জেফ্রি উইন্ডার এবং তার স্ত্রী অ্যান্জেলা

ভাই জেফ্রি উইন্ডার আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়ার মুরিয়েটাতে বড়ো হয়ে ওঠেন। তার বাবা-মা তাকে সত্যে বড়ো করে তুলেছিলেন আর ১৯৮৬ সালের মার্চ মাসের ২৯ তারিখে তিনি বাপ্তিস্ম নেন। এর ঠিক পরের মাসেই তিনি সহায়ক অগ্রগামীর কাজ করেন। অগ্রগামী কাজ তার এতটা ভালো লাগে যে, তিনি তা চালিয়ে যেতে চান। কয়েক মাস সহায়ক অগ্রগামীর কাজ করার পর, তিনি ১৯৮৬ সালের অক্টোবরের ১ তারিখ থেকে নিয়মিত অগ্রগামীর কাজ শুরু করেন।

ভাই উইন্ডার যখন কিশোরবয়সি ছিলেন, তখন তিনি তার দুই দাদার সঙ্গে দেখা করার জন্য বেথেলে গিয়েছিলেন। সেই সময়ে বেথেল দেখে তার এত ভালো লেগেছিল যে, তিনিও বড়ো হয়ে বেথেলে সেবা করতে চেয়েছিলেন। পরবর্তী সময়ে, ১৯৯০ সালে তাকে ওয়ালকিল বেথেলে সেবা করার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়।

বেথেলে ভাই উইন্ডার বিভিন্ন বিভাগে কাজ করেন, যেমন পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার বিভাগ, ফার্ম বিভাগ এবং বেথেল অফিস। ১৯৯৭ সালে তিনি বোন অ্যান্জেলাকে বিয়ে করেন আর তারা দু-জন একসঙ্গে বেথেলে সেবা করা চালিয়ে যান। ২০১৪ সালে ভাই উইন্ডার এবং তার স্ত্রীকে ওয়ারউইকে পাঠানো হয় আর ভাই সেখানে বিশ্ব প্রধান কার্যালয়ের নির্মাণ কাজে সাহায্য করেন। ২০১৬ সালে তাদের প্যাটারসনের ওয়াচটাওয়ার এডুকেশনাল সেন্টার-এ পাঠানো হয়, যেখানে ভাই অডিও/ভিডিও সার্ভিসেস-এ কাজ করেন। চার বছর পর, তারা ওয়ারউইকে ফিরে যান আর সেখানে ভাইকে পারসোনেল (কর্মী সংক্রান্ত) কমিটি অফিস-এ সেবা করার দায়িত্ব দেওয়া হয়। ২০২২ সালের মার্চ মাসে ভাইকে পারসোনেল (কর্মী সংক্রান্ত) কমিটি-র সাহায্যকারী হিসেবে নিযুক্ত করা হয়।

“মানুষদের মধ্যে . . . দান হিসেবে” পাঠানো এই ভাইয়েরা, রাজ্যের কাজের জন্য কঠোর পরিশ্রম করেন। (ইফি. ৪:৮) আর আমরা যিহোবার কাছে প্রার্থনা করি, যেন তিনি এই ভাইদের অনেক অনেক আশীর্বাদ করেন।